বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সম্মানিত ওলামা-মাশায়েখরা ৩৬ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্য ত্যাগ ও কুরবানি দিয়েছেন। অতীতের গণবিপ্লবের মতো আগামীতেও ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ, তথা কুরআন ও সুন্নাহর শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর মুক্তিকামী মানুষ ও ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং মানবাধিকার রক্ষায় আলেম সমাজ ধারাবাহিক ভূমিকা রেখে এসেছে। বৈষম্যহীন, মানবিক, শোষণমুক্ত ও জুলুম-নির্যাতনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ওলামা-মাশায়েখদেরকে আরও সচেতন হয়ে ত্যাগ ও কুরবানি প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর ওলামা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত “৩৬ জুলাই ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও নগর ওলামা বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা মমতাজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে মনোনীত প্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, মাওলানা আযুব আলী আনছারী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অধ্যক্ষ মাওলানা মিয়া মুহাম্মদ হোসাইন শরীফে সঞ্চালনা মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ ছাবের আহমদ।