নিজস্ব প্রতিনিধি
১৩ আগষ্ট দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন শেরশাহ এলাকা হতে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা এবং কতেক রিকসা চালক এক যুবককে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিলে উক্ত যুবক নিজেকে আবদুল্লাহ আল হারুন রাফি নামে পরিচয় দেয়।
জানা যায়,রিকসা চালক আব্বাস তার অটো রিক্সাটি বন্ধ করে চা খেতে গেলে আবদুুল্লাহ আল হারুন রাফি সুকৌশলে রিক্সার লক খুলে রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রিক্সা চালক আব্বাসের চিৎকারে স্হানীয় জনগন এবং কতেক রিক্সা চালক আবদুল্লাহ আল হারুন রাফিকে আটক করে গণপিঠুনি দেয়।এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা রিক্সা চোর রাফিকে গাছের সাথে বেধে পিটুনি দিলে সে নিজেকে চন্দনাইশ থানাধীন বৈলতলী ইউনিয়নের এম এ মজিদের নাতি এবং কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার দীঘির পাড় ইউনিয়নের ধন্দুখোলা গ্রামের মুরগী বিক্রেতা ধনু মিয়ার ছেলে বলে পরিচয় দেয়।সে দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা সেবন,ইয়াবা বিক্রি,রিক্সা চুরি এবং মটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।
আবদুল্লাহ আল হারুন রাফি চন্দনাইশ থানার গাছবাড়িয়া এলাকার জান মোহাম্মদ পাড়া হতে ৩ টি গরু চুরি সহ বৈলতলী ইউনিয়নের শফি বহদ্দারের ঘর, ইসমাইলের ঘর, দ্বীন মোহাম্মদের ঘর এবং উক্ত এলাকার মজিদ কমান্ডারের বাড়ীতে চুরি সংঘঠিত করেছে মর্মে স্বীকার করে।
ধোলাইয়ের একপর্যায়ে আবদুল্লাহ আল হারুন রাফি জানায়,তুলাতলীএইচ আর পরিবহন নামীয় রিক্সার গ্যারেজে মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন নামে এক ব্যবসায়ীর ০৩ টি ব্যাটারী চালিত রিকসা তার তত্বাবধানে পরিচালনার জন্য রাখতে দিলে উক্ত ব্যবসায়িকে না জানিয়ে কিছুদিন আগে রিকসা ০৩টির মধ্যে ০১ টি রিক্সা তার স্ত্রী সাদিয়া,মা খোরশেদা আকতার এবং পিতা ধনু মিয়ার পরামর্শে তার দলের সদস্য দাঁড়ি হাসানের কাছে এবং ০২ টি রিকসা তার দলের অন্য সদস্য চোরাই রিক্সা ক্রেতা বাবুলের কাছে বিক্রি করে মর্মে স্বীকার করে।
অবশেষে আবদুল্লাহ আল হারুন রাফি,তার মা খোরশেদা আক্তার খুশি রিকসা চালক আব্বাসের হাতে পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি এবং কান ধরে উঠবস করার পর রিকসা চালক আব্বাসের কাছে মুচলেখা দিলে জনতা গতকাল রাত ০৮ টায় আবদুল্লাহ আল হারুন রাফিকে ছেড়ে দেয়।রিকসা চালক আব্বাস, স্হানীয় জনতা ফারুক,নিজাম এবং রিকসা মালিক মিল্টন দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।