হানিফ উদ্দিন সাকিব:হাতিয়া ( নোয়াখালী) প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, যদি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে না যেতেন, তাহলে হয়তো আমাকে এতদিনে মাটির নিচে কিংবা ‘আয়নাঘরে’ থাকতে হতো। গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে বলেই আমি আজ আপনাদের সামনে এসে কথা বলতে পেরেছি।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নদীভাঙন কবলিত স্থানে জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হান্নান মাসউদ বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসবো না। কখনো বলবো না আপনারা আমাকে ভোট দিন। আপনারা যদি আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবুও আমি চাইবো অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক। যিনি হাতিয়া দ্বীপের উন্নতি করতে পারবেন, আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।”
নিজেরা নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে না জড়ানোর জন্য উপস্থিত সবাইকে ওয়াদা করিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই আমার কাছে ওয়াদা করুন, নিজেরা নিজেদের মধ্যে কেউ হানাহানি, মারামারি করবেন না। বিএনপি-জামায়াত কিংবা এনসিপি—যে যে দলই করি না কেন, আমরা যদি নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করি, অরাজকতার সৃষ্টি করি, তাহলে সারাদেশের মানুষ আমাদের খারাপ ভাববে।
হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়নের পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সরকারের কোনো মন্ত্রী-উপদেষ্টা বা কোনো কিছুতেই নেই। আমার বিশেষ কোনো ক্ষমতাও নেই। আপনারা যেমন আপনাদের সুখ-দুঃখের কথা আমার কাছে শেয়ার করেন, তেমনি আমিও আপনাদের সেই সব কথাগুলো সরকারের সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছেন, তাদের জানাই। তাদের অনুরোধ করে আপনাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনার চেষ্টা করি। আমার নিজের চাচা-খালাও অসংখ্যবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে সবকিছু হারিয়েছেন। নদীভাঙনের কষ্ট আমি বুঝি।
তিনি আরও বলেন, হাতিয়াতে বিনিয়োগের জন্য এ মাসের শেষের দিকে জাপান থেকে একটি টিম হাতিয়া পরিদর্শনে আসবে। আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ পাই, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হাতিয়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকেও সুন্দর হবে।
এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির নোয়াখালীর সংগঠক কাজী তানভীর, ইয়াছিন আরাফাত, মেহেদী হাসান সীমান্ত, হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী শামছুল তিবরিজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।