হোসেন বাবলা:চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন অনলাইনে যুক্ত হয়ে আল মারচুচ হজ কাফেলার সাফল্য কামনা করে বলেছে, আগামীতে হাজী সাহেবানরা যাতে কোন ধরনের অসুবিধার মধ্যে না পরেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য হজ কাফেলার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান, হাজী সাহেবানগণ আল্লাহর মেহমান।
এই মেহমানদেরকে সম্মান করাই হলো সওয়াবের কাজ। আল মারচুচ হজ কাফেলা হাজী সাহেবানদের পুনর্মিলনী সম্মেলন দিয়ে ছোয়াবের অংশীদার হলো। হাজীগণ কঠোর শৃংখলা, ধৈর্য্য, নিয়মানুবর্তিতা এবং শারীরিক ও মানসিক একাগ্রতার মাধ্যমে হজের ইবাদত সম্পন্ন করে থাকেন।
আল মারচুচ হজ্জ কাফেলার ২৪ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে ১৬ আগস্ট (শনিবার) হাজীদের পুনর্মিলনী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ এবং এর অস্বীকারকারী কাফের।
মহান আল্লাহতায়ালা এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, আর এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যার সামর্থ্য রয়েছে বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে এটা অস্বীকার করবে- আল্লাহ বিশ্বজগতের সবকিছু থেকে অমুখাপেক্ষী।
আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ আবু সালেহ মো: ছলিম উল্লাহ, ব্যাংকার ছালামত উল্লাহ, হাজী শরিয়ত উল্লাহ, চবি অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ জুনাইদ, গারাঙ্গিয়া আলিয়া মাদরাসার মোহাদ্দেস আলহাজ্ব মাওলানা মহিউদ্দিন, হাজী নেজাম উদ্দিন, ইপিজেড থানা সিটিজেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুজিবুল হক বকুল, শিল্পী গোলাম মোস্তফা, সুলতান মোহাম্মদ টিপু, শফিকুল ইসলাম রাহি, জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যক্ষ নেজাম উদ্দিন, মাওলানা শফি, ডা: আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, হজ এবং ওমরাহ দুনিয়ার কোনো স্বার্থ, লোভ-লালসা, মর্যাদা বা খ্যাতি লাভের উদ্দেশ্যে করলে আল্লাহর দরবারে তা কবুল হবে না, তা হতে হবে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে।
শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।