ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়াইল ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আতিকুল ইসলামের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায় কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাদেক মিয়ার কন্যা সাইমা আক্তার এর সাথে সৌদি প্রবাসী আতিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুভ বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।
এদিকে মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সাইমা আক্তার এর বাবা সাদেক মিয়া বলেন মাত্র ২০ দিন আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার মেয়েকে গোসাইপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আতিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে দিয়ে থাকি।
বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ে আমার বাড়িতেই পূর্বের মত স্বাভাবিকভাবে বসবাস করছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ১৮ আগস্ট সোমবার আনুমানিক দুপুর ১১ ঘটিকার সময় আমি আমার ব্যবসার প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে যাওয়ার পর আমার মেয়েকে অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা দেখতে পাই এবং আমার মেয়ের সাথে কথাও হয়েছে, কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রী পাশের ঘরের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করতেছেন এবং চিৎকার করে ডাকছেন ভেতর থেকে দরজা খোলার জন্য, আমি আমার স্ত্রীর আত্মচিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে প্রতিবেশী কয়েকজনের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই গলায় ওড়না পিছিয়ে সিলিং ফ্যানে আমার মেয়ে সাইমা বেগম ঝুলছে, উপস্থিত সবাই মিলে আমার মেয়েকে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে মাথায় পানি ঢালতে থাকি, তখনো আমার মেয়ের শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল, তারপর আমরা দ্রুত অটো গাড়ি দিয়ে সড়ক পথে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পথিমধ্যেই সাঈমা আক্তারের মৃত্যু হয়। আত্মহত্যার খবর শুনে নবীনগর থানা পুলিশের এসআই নুরুন্নবীর নেতৃত্বে হাসপাতালে উপস্থিত হন, প্রাথমিক তদন্ত করে সুরত হালশেষে এসআই নুরুন্নবী সাংবাদিকদের জানান গলায় তার আঘাতের চিহ্ন রয়েছে আমরা এখন সাইমা আক্তারের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হবে, ময়নাতদন্ত শেষে সাইমা আক্তারের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর আমরা আবার সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়ে দেব। আরো জানতে চাইলে পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভাষ্যমতে সাইমা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা ধারণা করছেন।